আমার ব্লগ তালিকা

বৃহস্পতিবার, ১৯ আগস্ট, ২০২১

অতিরিক্ত পানি পান করলে কী হয়?

 

সবাই বলে থাকেন বেশি বেশি পানি পান করা স্বাস্থ্যের জন্য ভীষণ ভালো। কথাটা কিছু মানুষের জন্য প্রযোজ্য হলেও সবার জন্য নয়। অতিরিক্ত পানি পান ডেকে আনতে পারে ভয়ানক বিপদ। সাধারণত মানুষের কিডনি অতিরিক্ত পানি প্রস্রাবের মাধ্যমে দেহ থেকে বের করে দিতে পারে।
কিন্তু অতিরিক্ত পানি পানের ফলে কিডনিকে অতিরিক্ত পানি বের করে দেওয়ার দায়িত্ব নিতে হবে। এতে কিডনির ওপর চাপ পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে মারাত্মক রকম। আর কিডনি কাজ না করতে পারলে অতিরিক্ত পানি শরীরে জমে গিয়ে সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে। তাই বুঝে শুনে পানি পান করতে হবে।
বাংলাদেশের আবহাওয়া অনুযায়ী একজন মানুষের স্বাভাবিকভাবে ২-৩ লিটার পানি পানই যথেষ্ট। তবে ইউরোপিয়ান ফুড সেফটি অথরিটির এক প্রতিবেদন দাবি করে স্বাভাবিকভাবে এরচেয়ে কম পানি পান করলেও অসুবিধা নেই।
পুরুষদের জন্য ২ লিটার আর নারীদের জন্য ১ দশমিক ৬ লিটার পানিই স্বাভাবিক। প্রতিবেদনটিতে উল্লেখ করা হয়, দিনের অসংখ্য খাবারের মধ্য দিয়ে পানি প্রবেশ করছে আমাদের দেহে তাই ২ বা দেড় লিটার পানি পানই স্বাভাবিক।

অতিরিক্ত পানি পান ডেকে আনতে পারে ভয়ানক বিপদ! | কালের কণ্ঠ

তবে অ্যান্টিবায়োটিক জাতীয় ওষুধ গ্রহণকারীদের জন্য বেশি পানি পানের পরামর্শ চিকিৎসকরাই দিয়ে থাকেন। যাতে শরীর থেকে রাসায়নিক উপাদান দ্রুত প্রস্রাবের মাধ্যমে নিস্কাশিত হয়।
জ্বর, ডায়রিয়া জাতীয় অসুখেও বেশি বেশি পানি ও তরল জাতীয় খাবার গ্রহণের পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা।
কিডনির সমস্যা, উচ্চ রক্তচাপ, হৃদেরাগ ও শ্বাসযন্ত্রের সমস্যা আছে, এমন রোগীদের পানি পানের পরিমাণটি চিকিৎসকের কাছ থেকে জেনে নেওয়াই শ্রেয়। অহেতুক অতিরিক্ত পানি পান তাদের ক্ষতির কারণ হতে পারে।
তবে বর্তমান সময়ে চিকিৎসকদের প্রধান পরামর্শ হচ্ছে, যে পরিমাণ পানিই একজন পান করুক না কেন তাকে অবশ্যই ফুটানো অর্থাৎ জীবাণুমুক্ত পানি ও পরিশোধিত দূষণমুক্ত পানি পান করতে হবে।

শনিবার, ৭ আগস্ট, ২০২১

⭕সাইকোলজিক্যাল হ্যাক⭕

 ⭕সাইকোলজিক্যাল হ্যাক⭕


◽১..স্মার্টফোন কেনার সময় কখনই ক্যামেরাটা গুরুত্ব দেবেন না। প্রসেসর এবং RAM এর গুরুত্ব সর্বাধিক। স্ক্রীনসাইজ ও খুব একটা গুরুত্ব রাখেনা। মনে রাখবেন আপনি ক্যামেরা অথবা TV নয়, মোবাইল ফোন কিনছেন।


◽২..যখন কারো সাথে কোনো বিতর্কে অংশ নেবেন তখন পুরো সময় নিজেকে ঠান্ডা রাখার চেষ্টা করুন..... ঠান্ডা মাথায় বিতর্কে জয়লাভ করার সম্ভাবনা বেড়ে যাবে


◽৩..কোন পরিস্থিতিতে অতিরিক্ত মানসিক চাপের সৃষ্টি হলে চুইংগাম চিবতে পারেন; পরিস্থিতি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে আসবে


◽৪..যখনই কারো সাহায্য প্রয়োজন হবে সরাসরি তাকে বলুন "আমি আপনার সাহায্য চাই"। এতে অনেক দ্রুত কাজ হয়।


◽৫..কোন ব্যক্তি যদি আপনাকে অপমান করে আপনি শুধু তাকে অবহেলা করুন অথবা পারলে তার নকল করুন। কিন্তু কোনো অবস্থাতেই আপনি আপনার মেজাজ হারাবেন না এবং পরিস্থিতি কখনও আপনার হাতের বাইরে যেতে দেবেন না


◽৬..অনলাইন থেকে কোন জিনিস কিনতে চাইলে সেই জিনিসটাকে আপনার cart এ কয়েকদিনের জন্য সেভ করে রাখুন কিন্তু অর্ডার দেবেন না। কিছুদিনের মধ্যে দেখবেন এই জিনিসটির দাম বেশিরভাগ ক্ষেত্রে কিছুটা কম হয়ে যাবে।


◽৭..কোনো নতুন জায়গায় ঘুরতে গেলে আপনি যদি ওই জায়গাটির সম্বন্ধে একটা সম্যক ধারণা চান তাহলে কোন চায়ের দোকানে চলে যান। চা খেতে খেতে এবং দোকানদারের সাথে কথা বলতে বলতে ওই জায়গার সম্বন্ধে মোটামুটি একটা ধারণা পেয়ে যাবেন


◽৮..আয়নার দিকে তাকিয়ে নিজেকে দেখুন এবং নিজের সাথে হাসতে থাকুন এবং নিজেকে বলুন "আমি নিজেকে পছন্দ করি" তাৎক্ষণিকভাবে এটি আপনার আত্মবিশ্বাস অনেক গুণ বাড়িয়ে দেবে


◽৯..আপনার ঘরে একটি নীল বাতি রাখুন। এটি আপনাকে শান্ত থাকার প্রয়োজনীয় হরমোন নিঃসরণে সাহায্য করবে


◽১০..আপনি যদি কোন দলের সাথে একসাথে থাকেন এবং জানতে চান কে আপনাকে সবথেকে বেশি পছন্দ করে তাহলে কোন হাসির মুহূর্তে দেখুন কোন ব্যক্তি আপনার দিকে হাস্যরত অবস্থায় তাকিয়ে রয়েছে! যখন কেউ মন খুলে হাসে তখন সে তার সবথেকে নিকট ব্যক্তির দিকেই তাকিয়ে থাকতে পছন্দ করে।


◽১১..যখন কেউ আপনার দিকে রাগান্বিত অবস্থায় তাকিয়ে আছে তখন শান্ত থাকার চেষ্টা করুন


◽১২..দুটো সিদ্ধান্তের মধ্যে কোন একটি কে পছন্দ করতে হলে কঠিনতর সিদ্ধান্তটি গ্রহন করুন। ভবিষ্যতে আফসোস করবেন না।


◽১৩..ইন্টারভিউ বোর্ডে যদি কোনো অজানা প্রশ্নের মুখোমুখি হন তাহলে তিন থেকে পাঁচ সেকেন্ডের মধ্যে জানিয়ে দিয়েন আপনি ওই প্রশ্নের উত্তর জানেন না। কোনরকম ভনিতা করবেন না। এতে আপনার ব্যক্তিত্বের প্রভাব বৃদ্ধি পাবে।


◽১৪..কোন প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় বসার এক ঘণ্টা আগে থেকে পরীক্ষার হলে ঢোকার আগের মুহূর্ত পর্যন্ত আপনি ওই কোম্পানি সম্বন্ধে শুধু ভাবতে থাকুন এবং চাকরিরত অবস্থায় ওই কোম্পানিতে আপনার অবস্থানের প্রতিচ্ছবি কল্পনা করুন। পরীক্ষার সময় আপনার ইতিবাচক মানসিকতা অনেকটাই বেড়ে যাবে।


—ধন্যবাদ,,,,,

রবিবার, ১ আগস্ট, ২০২১

সুন্দর একটি ভালোবাসার গল্প।

 "নিজের বেস্টফ্রেন্ডের বাসরঘরে বউ সেজে বসে আছে রিমি।কিছুক্ষণ আগে ওর বান্ধবী স্রুতির জায়গায় ওর বিয়ে হয়েছে।স্রুতিকে তার প্রেমিকের সাথে পালাতে সাহায্য করার শাস্তিস্বরুপ ওকেই বিয়ের পিরিতে বসতে হয়েছে।রিমি ওর বাবাকে ছোটবেলা থেকে ভয় পায়।তাই বাবার এক ধমকেই দুমদুমিয়ে বউ সেজে বিয়েতে রাজি হয়ে যায়।ভয়ে রীতিমতো কাঁপছে রিমি।আগাম ঝড়ের আভাস পাচ্ছে ও।দরজা লাগানোর শব্দ শুনে তীব্র ভয়টা বিশাল আকার ধারণ করে নিয়েছে ওর ভেতর। ফ্লর কাঁপানো শব্দ করে কেউ একজন এগোতে লাগলো রিমির দিকে।রিমি বেশ বুঝতে পারছে লোকটি কে হতে পারে।বেচারি ঘোমটার নিয়ে ঘেমে একাকার হয়ে গেছে।ঘনঘন ঢোক গিলছে আর আল্লাহ নাম জোপে যাচ্ছে।


-নামো আমার বিছানা থেকে!


হুংকার দিয়ে বলায় রিমি চট করে মাথার ঘোমটা খুলে পিট পিট করে তাকায়।সামনের লোকটির রাগান্বিত চাহনি দেখে ভয়ে কেঁদেয় দেয় রিমি।কাঁদো কাঁদো গলায় বলে,আপনি আমাকে ভুল বুঝবেন না আহসান।আমি আসলে...রিমি পুরো কথা শেষ করার আগেই আহসান রিমির কথার মাঝে বলে,


-আমি সব জানি।লোভি মেয়ে তুমি।নিজের স্বার্থসিদ্ধির জন্য তুমি স্রুতিকে পালাতে সাহায্য করেছো,যাতে আমাকে বিয়ে করতে পারো।


 -না বিশ্বাস করুন আমি আপনাকে বিয়ে করার জন্য কিছু করিনি।আমি স্রুতিকে পালাতেও সাহায্য করিনি।শুধু আমি জানতাম ও পালাবে।কিন্তু আমি বন্ধুত্বের খাতিরে বলিনি কাউকে।বরং আমি ওকে বারবার বলেছি ও যেন এমন কিছু না করে।


-শাট আপ!যতসব ছোটলোক,লায়ার,থার্ডক্লাস ফ্যামিলির মেয়ে।ধমকের সুরে বলায় রিমি দু পা গুটিয়ে বুকের সাথে লাগিয়ে নেয়।আহসান খাটে লাথি মেরে বলে,আমি কি বলেছি কানে যায়নি!এবার রিমি উচ্চস্বরে কেঁদেই দেয়,এ্যাআয়ায়ায়ায়ায়ায়ায়া,,,


-এই থামো।নেকাকান্না কাঁদতে হবে না।ওয়াটলেস মেয়ে কোথাকার।যাও সরো আমার চোখের সামনে থেকে। I say get out in front of my eyes...আমি ওয়াশরুম থেকে বের হয়ে তোমার মুখ যেন না দেখি বলে কাবার্ড থেকে একটা টি-শার্ট আর টাউজার বের করে ওয়াশরুমে চলে যায়।


(পরিচয়ঃআহসান তালুকদার হচ্ছে গল্পের হিরো।আহসান Australia থেকে ডাক্তারি পড়া শেষ করে বিডিতে ব্যাক করে।কিছুদিন আগে বাবার হসপিটালে জয়েন করেছে।এমবিবিএস বাবার একমাত্র ছেলে সে।আহসানের বাবার নাম রঞ্জিত তালুকদার এবং মায়ের নাম অপা তালুকদার।অপা হাউজওয়াইফ।ছেলের পেছনেই সারাদিন কেটে যায় ওনার।স্রুতি আহসানের ফুপির মেয়ে।স্রুতি আমজাদ শেখ এবং রুপা শেখের একমাত্র মেয়ে।আহসান ও স্রুতি কাজিন হওয়ায়, সেই সুত্রে ওদের বিয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন।স্রুতি আর রিমি একে অপরের বেস্টফ্রেন্ড।ওরা সবসময় একই কলেজ ও ভার্সিটিতে পড়াশোনা করেছে।রিমিরা দু বোন।বড় বোনের বিয়ে হয়ে গেছে।আহসান ও স্রুতির মতো ওরা তেমন বিত্তবান নয়।রিমির বাবা নাজমুল হোসেন একজন পাবলিক কলেজের টিচার।ওর মা আম্বিয়া বেগমও পাবলিক হাই স্কুলের টিচার।রিমির বাবা মা দুজনই রিটায়ার করেছেন।রিমি মাস্টার্স কমপ্লিট করার পর জব করতে চেয়েছিল।এরই মধ্যে এসব হয়ে গেল।)


আহসান ওয়াশরুম থেকে বেরিয়ে এসে কোনো দিকে না তাকিয়ে বিছানায় গিয়ে শুয়ে পড়ে।সকালে আহসানের ঘুম ভাঙে কারো গোংরানির শব্দ শুনে।আহসান এদিক সেদিক তাকালো কিন্তু কাউকে দেখতে পেল না।তারপর যেদিক দিয়ে আওয়াজ ভেসে আসছে সেদিকে পা বাড়ালো।আস্তে আস্তে বেলকনির দিকে যায় আহসান।সেখানে গিয়ে দেখে বেলকনির এক কোণে গুটিশুটি মেরে শুয়ে আছে রিমি।কাঁপছে আর মুখ দিয়ে শব্দ করে যাচ্ছে অনবরত।মুখ যেন রক্তশুন্য হয়ে গেছে রিমির।ঠোঁটের লিপ্সটিক ছেতরে গেছে।কাজলটাও চোখ বেয়ে অন্যত্র লেপ্টে আছে।আহসানের কাছে রিমিকে উম্মাদের মতো লাগছে।রিমিকে এমন পরিস্থিতিতে দেখে মায়াও হচ্ছে।ও রিমির কাছে গিয়ে হাটু গেড়ে বসে।তারপর রিমিকে ডাক দেয়,


-এই মেয়ে শুনতে পারছো!তুমি এখানে কেন শুয়ে আছো?এই মেয়ে, এই বলে রিমির গালে হাত রাখতেই আহসান বেশ চমকে উঠে।আর বলে,ওহ নো!এর তো খুব ফিভার হয়েছে।অসহ্যকর।এখন যদি বাপি শোনে উনি বারান্দায় শুয়ে জ্বর বাধিয়েছে,তাহলে আমি শেষ।এই মেয়ে দেখছি বিপদের পর বিপদ খাড়া করে দিচ্ছে।শেট বলে রিমিকে পাজকোলে নিয়ে নেয়।তারপর বিছানায় শুইয়ে দিয়ে বেড সাইড ড্রয়ার থেকে থার্মোমিটার বের করে রিমির মুখে ধরে।কিছুক্ষণ পর থার্মোমিটার চেক করে বলে,ওএমজি!এনার তো ১০২° ফিভার!


#তোলপাড়💓

#সুচনা পর্ব

#শান্তনা_আক্তার(Writer)


#চলবে?

এই দুনিয়ায় যার টাকা আছে তার অনেক মুল্য আছে, আর যার টাকা নাই তার কোনো মুল্য নাই।হায়রে বাস্তবতা।

চাকরির পরীক্ষায় সফল হওয়ার কৌশল

 চাকরির পরীক্ষায় সফল হওয়ার কৌশল বর্তমানে সকল চাকরি পরীক্ষাতেই বেশ প্রতিযোগিতা লক্ষ্য করা যায়। এ প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে হলে অবশ্যই কিছু কৌশল...