আমার নাম- জাহিদুল। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।
আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।
জাহিদুল ইসলাম › বিস্তারিত পোস্টঃ
আসুন তিউনিসিয়া দেশটি সম্পর্কে জানি
27 August 2024 ইংরেজি।
আফ্রিকার উত্তর উপকূলে ভূমধ্যসাগরের তীরে অবস্থিত তিউনিসিয়া।
রাজধানী তিউনিস। রাজধানীতে ২৮ লক্ষ লোকের বাস। দেশটির ৪৫% জায়গা সাহারা মরুভূমিতে পড়েছে। দেশটির আয়তন ১.৬৩,৬১০ বর্গকিলোমিটার। আয়তনের দিক থেকে এটি বিশ্বের ৯২তম বৃহত্তম দেশ। জনসংখ্যা বড় জোর দেড় কোটি। ১৮৮১ সাল থেকে তিউনিসিয়া ফ্রান্সের একটি উপনিবেশ ছিল। ১৯৫৬ সালে তিউনিসিয়া স্বাধীনতা লাভ করে। রাষ্ট্রধর্ম হচ্ছে ইসলাম। প্রায় সব তিউনিসীয় নাগরিক মুসলিম। ১৯৬০ সালে তিউনিস বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপিত হয়। দেশটির প্রধান নদী মাজারদা। বহু আগে এই দেশের নাম ছিল- ‘আফরিকিয়া'।
প্রাচীনকালে তিউনিসিয়া বর্বর জাতির আবাসস্থল ছিল।
মুসলমানরা তিউনিসিয়া জয় করে ৬৯৭ খ্রিস্টাব্দে। আরব বিশ্বের একমাত্র গণতান্ত্রিক দেশ তিউনিসিয়া। মানব উন্নয়ন সূচকে দেশটির অবস্থান ওপরের দিকে। দেশটির প্রায় ৮২ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ পড়তে এবং লিখতে জানে। হলিউডের অনেক জনপ্রিয় চলচিত্র যেমন, স্টার ওয়ারস, রেইডারস অফ দ্যা লস্ট আর্ক এর অনেক গুরুত্বপূর্ণ দৃশ্যের শুটিং এই তিউনিসিয়াতেই করা হয়েছে। আরব বিশ্বের দেশ হলেও বহুবিবাহ নিষিদ্ধ। ফুটবল সবচেয়ে জনপ্রিয় খেলা। ফিফা র্যাংকিং: ২১। বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ ৪ বার। জিডিপি প্রায় ৪২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এবং মাথাপিছু আয় প্রায় ৩ হাজার ৫০০ মার্কিন ডলার।
রমজান মাসে প্রতিদিন সকল নাগরিককে ফ্রি কোরআন দেওয়া হয় সরকারের পক্ষ থেকে।
১৯৮৯ সালে তিউনিসিয়ার সেনাবাহিনী প্রধান জয়নুল আবেদিন ইবনে আলী হাবিব বরগুইবাকে ক্ষমতাচ্যুত করে তিউনিসিয়ার ক্ষমতায় বসেন। গত কয়েক বছরে তিউনিসিয়ার অর্জন অনেক। সবার গ্রহণযোগ্য একটি আধুনিক সংবিধান রচনা এবং দুটি নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠান আরব বিশ্বের গত কয়েক বছরের ঘটনাপ্রবাহের বিবেচনায় বড় অর্জন বলতেই হবে। তিউনিসিয়ার একটি বিখ্যাত মসজিদের নাম কাইরুয়ান জামে মসজিদ। ৫০ হিজরি সালে সাহাবি হজরত মুয়াবিয়া (রা.)-এর অন্যতম সামরিক কমান্ডার উকবা বিন নাফি (রহ.) ৯ হাজার বর্গমিটার জায়গার ওপর মসজিদটি নির্মাণ করেন। কৃষিকাজ এখানকার অর্থনৈতিক উপার্জনের মূল উৎস। এখানে মূলত জলপাই ও খাদ্যশস্য উৎপাদন করা হয়। তিউনিসিয়া পর্যটকদের একটি জনপ্রিয় গন্তব্যস্থল।
যাঁর নেতৃত্বে ফরাসিদের হাত থেকে মুক্তি লাভ করে তিউনিসিয়া, তিনি হলেন হাবিব বরগুইবা। হাবিবের নেতৃত্বে চলমান আন্দোলনের মুখে ১৯৫৫ সালে তিউনিসিয়াকে স্বায়ত্তশাসন দানের ঘোষণা দেয় ফ্রান্স। স্বাধীনতার পর তিনিই হন তিউনিসিয়ার প্রথম রাষ্ট্রপতি। রমজানে তিউনিসিয়ান মুসলমানরা উদারভাবে দান করে। বিশেষত তারা রমজানে সমাজের ঋণগ্রস্থ মানুষের ঋণ পরিশোধ করে দেয়। কেউবা আবার ঋণের দাবী ত্যাগ করে। এতিম, অসহায় ও দরিদ্র্য মানুষকে নতুন কাপড় উপহার দেয়া তিউনিসিয়ান মুসলিমদের একটি সুপ্রাচীন ঐতিহ্য। এই দেশে ধর্মীয় উন্মাদ নেই। ধর্ম নিয়ে মারামারি কাটাকাটি হয় না। সব্বাই নিয়ম মেনে চলে। আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। কেউ রাস্তার ধারে ময়লা ফেলে না। উলটো পথে কেউ গাড়ী চালায় না। চোর, ছিনতাইকারী বা ডাকাত নেই। ধর্ষন হয় না। কেউ মামা চাচার ক্ষমতা দেখায় না।