আমার ব্লগ তালিকা

শুক্রবার, ২৫ অক্টোবর, ২০২৪

চাকরির পরীক্ষায় সফল হওয়ার কৌশল

 চাকরির পরীক্ষায় সফল হওয়ার কৌশল


বর্তমানে সকল চাকরি পরীক্ষাতেই বেশ প্রতিযোগিতা লক্ষ্য করা যায়। এ প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে হলে অবশ্যই কিছু কৌশল অবলম্বন করতে হবে। মনে রাখতে হবে, ‘বিজয়ীরা ভিন্ন কোনো কাজ করে না বরং তারা একই কাজ ভিন্ন উপায়ে বা ভিন্ন কৌশলে করে।’ এখন চাকরির যে পরীক্ষাগুলো হয় তা মোটা দাগে ভাগ করলে চার ধরনের চাকরি পরীক্ষার কথা বলতে হবে। (১) বিসিএস ও পিএসসির মাধ্যমে নিয়োগপ্রাপ্ত নন ক্যাডার চাকরি (২) প্রাইমারি (৩) নিবন্ধন (৪) ব্যাংক।


প্রতিযোগিতামূলক চাকরি পরীক্ষার প্রস্তুতি কখন নিবেন :


আপনার অনার্স/ স্নাতক শেষ হওয়ার সাথে সাথে প্রতিযোগিতামূলক চাকরি পরীক্ষার প্রস্তুতিও শেষ হওয়া ভালো। অনার্স পাশ করার সাথে সাথে যদি আপনি চাকরি পরীক্ষার প্রস্তুতি শেষ করতে চান, তাহলে পড়াশোনা কিন্তু অনার্স তৃতীয় বর্ষ অথবা চতুর্থ বর্ষের প্রথম থেকেই শুরু করতে হবে। অ্যাকাডেমিক পড়ার পাশাপাশি অবসর সময়ে আপনি চাকরির পড়া পড়বেন। আপনাকে তৃতীয় বা চতুর্থ বর্ষে থাকতেই পড়াশোনা করতে বলার কারণ হলো আপনি আগে থেকে না পড়লেও আপনার বন্ধু-বান্ধবীরা কিন্তু ঠিকই আগে থেকে পড়াশোনা শুরু করেছে। তাই প্রতিযোগিতায় টিকতে হলে আপনাকেও পড়া শুরু করতে হবে।


আজকের পর্বে বিসিএস প্রস্তুতি কিভাবে নিবেন তা আলোচনা করব :


বিসিএস-এ তিনটি ধাপ। প্রথম ধাপ প্রিলিমিনারি-২০০, দ্বিতীয় ধাপ লিখিত-৯০০, তৃতীয় ধাপ ভাইভা-২০০ নম্বর


(১) প্রতিযোগিতামূলক যেকোনো পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য প্রথম কাজ আপনি যে পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিবেন ওই পরীক্ষার ধাপ, কোন কোন বিষয় থেকে কত নম্বরের প্রশ্ন থাকে তা জানা এবং সে অনুযায়ী প্রস্তুতি নেওয়া। বিসিএস-এর ক্ষেত্রে প্রিলিমিনারিতে কটি বিষয় আছে, কোন বিষয় থেকে কত নম্বরের প্রশ্ন থাকবে তা জানতে হবে। একটি কাগজে বিসিএস প্রিলির ১০টি বিষয়ের নাম ও কোন বিষয় থেকে কত নম্বর আসে তা লিখে পড়ার টেবিলে রাখতে পারেন।


শিক্ষামূলক বা বাস্তবিক জ্ঞানের পোস্ট ও ভিডিও পেতে Shakil Sir  || ইংরেজি শিখতে Alada English  পেজ ফলো করুন এবং  নোটিফিকেশন পেতে বা অন্যকেও জানাতে এই পোস্টটিতে রিয়াক্ট,কমেন্ট ও শেয়ার করুন।


(২) তারপর আপনি ১০টি বিষয়ের জন্য আবার আলাদা আলাদা কাগজে ওই বিষয়ের বিস্তারিত তথ্য লিখে টেবিলের সামনে রাখতে পারেন। বিসিএস প্রিলিতে গণিতে নম্বর আছে ১৫। গণিতকে আবার তিন ভাগে ভাগ করা হয়েছে। পাটিগণিত- ৩, বীজগণিত- ৬, জ্যামিতি- ৬। এটা লিখে আপনি জানতে পারলেন যে গণিতে ১৫ নম্বরের মধ্যে কোন অংশ থেকে কত নম্বর থাকে এবং পাটিগণিত থেকে কত নম্বর থাকবে। আবার পাটিগণিতে ৩ নম্বরের জন্য ছয়টি অধ্যায় পড়তে হবে তাও আপনি জানলেন। এভাবে সব সাবজেক্ট জানবেন।


(৩) ১০টি সাবজেক্টের সিলেবাস দুই-তিন বার করে রিডিং পড়বেন।


(৪) রুটিন করে পড়াশোনা করা- প্রতিদিন রুটিন না করে আপনি এক মাসব্যাপী রুটিন করতে পারেন। উদাহরণ স্বরূপ আপনার টার্গেট আপনি তিন মাসে বিসিএস প্রিলির ১০টা সাবজেক্ট একবার করে রিডিং পড়ে শেষ করবেন। প্রথম এক মাস আপনি প্রতিটি বইয়ের ৩৩% পড়া শেষ করার টার্গেট রাখবেন।


(৫) সাজেশন ভিত্তিক পড়াশোনা করতে হবে। সাজেশনটি হলো, পাটিগণিতে ৩ নম্বরের জন্য আপনাকে ছয়টি অধ্যায় করতে হবে। যে শিক্ষার্থী গণিতে দুর্বল সে তো ছয়টি অধ্যায় পড়তে পারবে না। ওই শিক্ষার্থীকে গত ৩৫তম থেকে ৪৪তম বিসিএসের প্রশ্ন দেখে জানতে হবে পাটিগণিতে ছয়টির মধ্যে কোন তিনটি অধ্যায় থেকে প্রায় প্রতি বছর প্রশ্ন আসে। তিনি প্রথমবার  গণিত করার সময় ওই তিনটি অধ্যায় করেই পাটিগণিত শেষ করবেন। দ্বিতীয়বার যখন করতে যাবেন তখন তিনি আরও একটি অধ্যায় বাড়িয়ে এবার চারটি অধ্যায় করবে।


(৬) যে টপিকস পড়া শুরু করবেন তা শেষ না করে অন্য টপিকসে যাবেন না। আপনি যখন শতকরা শুরু করবেন তখন ওইটি শেষ না করে অন্য কোনো সাবজেক্ট পড়তে যাবেন না।


(৭) সব বই একবার করে পড়া শেষ হওয়া মাত্রই আপনি জব সলিউশন পড়া শুরু করবেন। জব সলিউশন হলো চাকরি পাওয়ার তাবিজ। মানে এটি হাফেজের মতো মুখস্থ করতে হবে। পুরো জব সলিউশন মিলে প্রশ্ন আছে ২৫ হাজারের মতো। ১০তম থেকে ৪৫তম বিসিএসের প্রশ্ন আছে সাড়ে চার হাজারটি এবং বিগত ১০ বছরের নন ক্যাডারের প্রশ্ন ২০ হাজারের মতো। মোট সাড়ে ২৪ হাজার থেকে ২৫ হাজার প্রশ্ন আছে। প্রতিদিন ৫০০টি করে এমসিকিউ পড়লে জব সলিউশন শেষ করতে সময় লাগবে ৫০ দিন। প্রতিদিন ৫০০ টি করে না পারলেও সন্ধ্যার পর থেকে শুরু করে ঘুমানোর আগ পর্যন্ত ৩০০টি করে এমসিকিউ পড়া সম্ভব। এভাবে টার্গেট রাখলে তিন মাসে শেষ হবে। টার্গেট না রাখলে তিন বছরেও শেষ হয় না।


(৮) জব সলিউশনের রিসেন্ট প্রশ্ন আগে পড়বেন। মানে আপনি জব সলিউশন থেকে আগে ২০২৩ সালের প্রশ্নগুলো পড়বেন। তারপর ২০২২, ২০২১ এভাবে বিগত ১০ বছরের প্রশ্ন মুখস্থ রাখবেন।


(৯) প্রথমবার পড়ার সময় আপনি ব্যাখ্যা ছাড়া শুধু সালের প্রশ্নগুলো পড়বেন। দ্বিতীয়বার রিভাইজ করার সময় আপনি ব্যাখ্যাসহ পড়বেন।


(১০) জব সলিউশন পড়ার সময় আগে বিগত বছরের বিসিএস-এর প্রশ্ন পড়বেন এবং বুঝার চেষ্টা করবেন, কোন সাবজেক্ট থেকে বা কোন অধ্যায় থেকে কী ধরনের প্রশ্ন আসে পরীক্ষায়।


(১১) যেসব প্রশ্ন মনে থাকতে চাচ্ছে না সেগুলো আলাদা করে দাগ দিয়ে রাখবেন। পরীক্ষার দুয়েকদিন আগে শুধু দাগানো প্রশ্নগুলো পড়বেন। যে প্রশ্ন আপনি পরীক্ষার দুয়েকদিন আগে না পড়লেও উত্তর দিতে পারবেন সেগুলো পড়ে সময় নষ্ট করবেন না।


(১২) জব সলিউশন থেকে আপনি যখন বিগত বিসিএস-এর প্রশ্ন পড়বেন, তখন মুখস্থ প্রশ্নগুলো আগে পড়ে নিবেন। সাধারণ জ্ঞান, বাংলা এসব প্রশ্ন হলো মুখস্থ প্রশ্ন। গণিত ও ইংরেজি পরে পড়তে পারেন। আপনি যখন ইংরেজি পড়বেন তখন ১০, ১১, ১২, ১৩, ১৪তম বিসিএস-এর শুধু ইংরেজিই পড়বেন। আবার যখন গণিত পড়বেন তখন ১০, ১১, ১২, ১৩, ১৪তম বিসিএস-এর শুধু গণিতই পড়বেন।


সকল চাকরি-যোদ্ধাদের জন্য শুভ কামনা রইল।


-সোর্স জনকন্ঠ


রবিবার, ১ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

আমি কি আপনার গাড়ির সামনের গ্লাসগুলো পরিস্কার করে দিতে পারি?

  ড. মুহাম্মদ খানী বলছেন - একদিন আমি আমার গাড়িতে বসে ছিলাম, হঠাৎ প্রায় ষোল বছর বয়সী এক কিশোর এসে আমাকে বলল, স্যার আমি কি আপনার গাড়ির সামনের  গ্লাসগুলো পরিস্কার করে দিতে পারি?

আমি বললাম - হ্যাঁ।

সে যত্ন করে গ্লাস পরিষ্কার করে দিলে আমি তার হাতে ২০ ডলার গুঁজে দিলাম।ছেলেটি খানিক অবাক হয়ে বলল, আপনি কি আমেরিকায় থাকেন?আমি বললাম - হ্যাঁ। কেন?

সে বলল, আমি কি এই ২০ ডলারের বদলে সেখানকার বিশ্ববিদ্যালয়গুলো সম্পর্কে কিছু কথা জানতে পারি?

আমি তার বিনয় ও লেখাপড়ার প্রতি আগ্রহ দেখে তাকে কাছে ডেকে নিয়ে আলাপ শুরু করে দিলাম। 

আলাপের শেষ দিকে তাকে জিজ্ঞাসা করলাম - তুমি এভাবে রাস্তায় গাড়ি পরিস্কারের কাজ করে বেড়াচ্ছ কেন , তুমি তো একজন মেধাবী ছাত্র?

উত্তরে সে বলল, আমার দু বছর বয়সেই আমার বাবা মারা যান। আমার মা মানুষের বাসায় কাজ করেন। আমি এবং আমার ছোট বোন বাইরে টুকটাক কাজ করে বেড়াই বাড়তি কিছু রোজগারের আশায় যা দিয়ে আমাদের লেখাপড়ার খরচ চলে। আমি শুনেছি আমেরিকার বিশ্ববিদ্যালয়গুলো নাকি মেধাবী ছাত্রদের উচ্চতর লেখাপড়ার জন্য স্কলারশিপ দেয়। আমার খুব ইচ্ছা সেখানে পড়ার।কিন্তু সেখানে আমাকে সাহায্য করার মত তো কেউ নেই।

আমি বললাম - চলো, আগে আমরা একসাথে ডিনার করি।

সে বলল, একটি শর্তে আপনার দাওয়াত কবুল করতে পারি। আর তা হল বিনিময়ে আমি আপনার গাড়ির পেছনের গ্লাসগুলোও পরিষ্কার করে দেব।

আমি কথা না বাড়িয়ে তা মেনে নিয়ে হোটেলে ঢুকলাম।খাবার অর্ডার করলে সে ওয়েটারকে বলল তারগুলো পার্সেল করে দিতে। সে বাসায় গিয়ে তার মা আর বোনকে নিয়ে খাবে। খেয়াল করলাম তার ইংরেজি ভাষায় দক্ষতা অসামান্য। 

বিদায় বেলায় সিদ্ধান্ত হল সে তার কাগজপত্রগুলো আমাকে দিবে, আমি সাধ্যমতো চেষ্টা করব। 

এভাবে দীর্ঘ ছয়মাস পর আমি তাকে আমেরিকা এনে ভালো একটি প্রতিষ্ঠানে ভর্তি করতে সক্ষম হলাম।

সে তার তার মেধা ও অধ্যবসায়ের জোরে কয়েক বছরের মধ্যেই আধুনিক টেকনোলজির কনিষ্ঠ টেক ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে পরিচিতি লাভ করে। নিউইয়র্ক টাইমসের পাতায় তাকে নিয়ে লিড নিউজ হলে সারা বিশ্বে হইচই পড়ে যায়।

তার ঈর্ষনীয় সফলতায় আমি ও আমার পরিবার যারপরনাই আনন্দিত হই। এদিকে তাকে না জানিয়ে তার মা ও বোনের ভিসা ব্যবস্থা করে আচমকা তার সামনে আমেরিকায় নিয়ে এসে তাকে বড়সড় সারপ্রাইজ দিয়ে চমকে দেই। তাদের দেখে সে বোবা বনে যায়। এমনকি কাঁদতে পর্যন্ত ভুলে যায়।

এখন সে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সেরা শিক্ষকদের একজন।

তারও কিছুদিন পর আমি একদিন বাসা থেকে রাস্তার দিকে তাকিয়ে বিস্ময়ে হতবাক হয়ে যাই। দেখি সে বাইরে দাঁড়িয়ে আমার গাড়ির গ্লাসগুলো পরিষ্কার করছে!চটজলদি দৌড় গিয়ে তাকে বাধা দিয়ে বলি - এগুলো কি করছো?সে অশ্রুসজল চোখে বলল, ছাড়ুন স্যার! আমাকে আমার কাজ করতে দিন। যেন আমি আমার পরিচয় ভুলে না যাই। আমি মনে রাখতে চাই আমি কি ছিলাম আর আজ কি হলাম। এবং আপনি আমার জন্য কী করেছেন!

এই সেই ফি'লি'স্তিনি যুবক ফরিদ আব্দুল আলী। যিনি বর্তমানে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রসিদ্ধ তরুণ প্রফেসর।

#অনুগল্প #সংগৃহীত 

মঙ্গলবার, ২৭ আগস্ট, ২০২৪

আসুন আমরা আজকে তিউনিসিয়া দেশটি সম্পর্কে জানি।

 

জাহিদুল ইসলাম › বিস্তারিত পোস্টঃ

আসুন তিউনিসিয়া দেশটি সম্পর্কে জানি

27 August 2024 ইংরেজি। 


আফ্রিকার উত্তর উপকূলে ভূমধ্যসাগরের তীরে অবস্থিত তিউনিসিয়া।
রাজধানী তিউনিস। রাজধানীতে ২৮ লক্ষ লোকের বাস। দেশটির ৪৫% জায়গা সাহারা মরুভূমিতে পড়েছে। দেশটির আয়তন ১.৬৩,৬১০ বর্গকিলোমিটার। আয়তনের দিক থেকে এটি বিশ্বের ৯২তম বৃহত্তম দেশ। জনসংখ্যা বড় জোর দেড় কোটি। ১৮৮১ সাল থেকে তিউনিসিয়া ফ্রান্সের একটি উপনিবেশ ছিল। ১৯৫৬ সালে তিউনিসিয়া স্বাধীনতা লাভ করে। রাষ্ট্রধর্ম হচ্ছে ইসলাম। প্রায় সব তিউনিসীয় নাগরিক মুসলিম। ১৯৬০ সালে তিউনিস বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপিত হয়। দেশটির প্রধান নদী মাজারদা। বহু আগে এই দেশের নাম ছিল- ‘আফরিকিয়া'।



প্রাচীনকালে তিউনিসিয়া বর্বর জাতির আবাসস্থল ছিল।
মুসলমানরা তিউনিসিয়া জয় করে ৬৯৭ খ্রিস্টাব্দে। আরব বিশ্বের একমাত্র গণতান্ত্রিক দেশ তিউনিসিয়া। মানব উন্নয়ন সূচকে দেশটির অবস্থান ওপরের দিকে। দেশটির প্রায় ৮২ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ পড়তে এবং লিখতে জানে। হলিউডের অনেক জনপ্রিয় চলচিত্র যেমন, স্টার ওয়ারস, রেইডারস অফ দ্যা লস্ট আর্ক এর অনেক গুরুত্বপূর্ণ দৃশ্যের শুটিং এই তিউনিসিয়াতেই করা হয়েছে। আরব বিশ্বের দেশ হলেও বহুবিবাহ নিষিদ্ধ। ফুটবল সবচেয়ে জনপ্রিয় খেলা। ফিফা র‍্যাংকিং: ২১। বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ ৪ বার। জিডিপি প্রায় ৪২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এবং মাথাপিছু আয় প্রায় ৩ হাজার ৫০০ মার্কিন ডলার।


রমজান মাসে প্রতিদিন সকল নাগরিককে ফ্রি কোরআন দেওয়া হয় সরকারের পক্ষ থেকে।

১৯৮৯ সালে তিউনিসিয়ার সেনাবাহিনী প্রধান জয়নুল আবেদিন ইবনে আলী হাবিব বরগুইবাকে ক্ষমতাচ্যুত করে তিউনিসিয়ার ক্ষমতায় বসেন। গত কয়েক বছরে তিউনিসিয়ার অর্জন অনেক। সবার গ্রহণযোগ্য একটি আধুনিক সংবিধান রচনা এবং দুটি নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠান আরব বিশ্বের গত কয়েক বছরের ঘটনাপ্রবাহের বিবেচনায় বড় অর্জন বলতেই হবে। তিউনিসিয়ার একটি বিখ্যাত মসজিদের নাম কাইরুয়ান জামে মসজিদ। ৫০ হিজরি সালে সাহাবি হজরত মুয়াবিয়া (রা.)-এর অন্যতম সামরিক কমান্ডার উকবা বিন নাফি (রহ.) ৯ হাজার বর্গমিটার জায়গার ওপর মসজিদটি নির্মাণ করেন। কৃষিকাজ এখানকার অর্থনৈতিক উপার্জনের মূল উৎস। এখানে মূলত জলপাই ও খাদ্যশস্য উৎপাদন করা হয়। তিউনিসিয়া পর্যটকদের একটি জনপ্রিয় গন্তব্যস্থল।



যাঁর নেতৃত্বে ফরাসিদের হাত থেকে মুক্তি লাভ করে তিউনিসিয়া, তিনি হলেন হাবিব বরগুইবা। হাবিবের নেতৃত্বে চলমান আন্দোলনের মুখে ১৯৫৫ সালে তিউনিসিয়াকে স্বায়ত্তশাসন দানের ঘোষণা দেয় ফ্রান্স। স্বাধীনতার পর তিনিই হন তিউনিসিয়ার প্রথম রাষ্ট্রপতি। রমজানে তিউনিসিয়ান মুসলমানরা উদারভাবে দান করে। বিশেষত তারা রমজানে সমাজের ঋণগ্রস্থ মানুষের ঋণ পরিশোধ করে দেয়। কেউবা আবার ঋণের দাবী ত্যাগ করে। এতিম, অসহায় ও দরিদ্র্য মানুষকে নতুন কাপড় উপহার দেয়া তিউনিসিয়ান মুসলিমদের একটি সুপ্রাচীন ঐতিহ্য। এই দেশে ধর্মীয় উন্মাদ নেই। ধর্ম নিয়ে মারামারি কাটাকাটি হয় না। সব্বাই নিয়ম মেনে চলে। আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। কেউ রাস্তার ধারে ময়লা ফেলে না। উলটো পথে কেউ গাড়ী চালায় না। চোর, ছিনতাইকারী বা ডাকাত নেই। ধর্ষন হয় না। কেউ মামা চাচার ক্ষমতা দেখায় না।

শনিবার, ১৩ এপ্রিল, ২০২৪

Hello Biker Brothers 🖤 ঈদ মানে আনন্দ কিন্তু ঈদ আসলেই অত্যাধিক পরিমানে বাইক অ্যাক্সিডেন্ট হয় এইজন্য বাইকার ভাইরা একটু সাবধান বাইক রাইড করবেন। #ঈদে_বাড়ী_মুখো_বাইকার_ভাইদের_জন্য_টিপস # যে সকল বাইকার ভাইরা হাইওয়েতে বাইক চালিয়ে বাড়ী যাবেন আপনজনের সাথে ঈদ উৎযাপন করতে, সেই সকল বাইকার ভাইদের জন্য আমার সামান্য অভিজ্ঞতা শেয়ার করলাম। আশা করি এই টিপস্ আপনার অনেকটা কাজে আসবে। এবার আসুন মূল কথায়ঃ #প্রথমত_পোষাকঃ- ১। অবশ্যই জিন্স পড়বেন। ফরমাল পেন্ট পড়বেন না। ২। ফুল হাতা গে‌নজি অথবা শার্ট পড়‌বেন। এটা যেন একটু ফিটিং হয়। ৩। অবশ্যই কেডস্ পড়বেন। ৪। হাতে গ্লাভস্ পড়বেন। ৫। অবশ্যই ফুল ফেইচ হেলমেট পড়বেন। চলন্ত অবস্থায় হেলমেটের গ্লাস উঠিয়ে রাখবেন না। ৬। এলবো এবং নি-গার্ড থাকলে পড়ে নিবেন। ৭। সামনের পকেটে মোবাইল রাখবেন না। ৮। পিছনের পকেটে মানিব্যাগ রাখবেন না। ৯। মোবাইল এবং মানিব্যাগ রাখার জন্য ওয়েষ্ট ব্যাগ ব্যবহার করবেন। ১০। অবশ্যই রিফ্লেক্টিং জ্যাকেট পড়বেন। ১১। যেহেতু বৃষ্টির দিন, তাই রেইনকোট অবশ্যই সাথে রাখবেন। #দ্বিতীয়তে_আসি_আপনার_বাইকেঃ- ১। যেদিন আপনি রওনা দিবেন তার এক/দুই দিন আগেই একজন ভালো মেকানিক দিয়ে আপনার বাইকটা চেক করিয়ে নিবেন। যদি সামান্যতম ত্রুটিও থাকে, সেটা অবহেলা না করে সমাধান করে নিবেন। ২। চাকার হাওয়ার প্রেসারঃ- সামনের চাকায় সর্বোচ্চ ২৫-২৮ , এবং পিছনের চাকায় সর্বোচ্চ ৩৫ রাখবেন। এবং তা নিজের চোখে মেপে দেখে নিবেন । ৩। ড্রাইভিং লাইসেন্সের এর মূল কপি। টেক্স টোকেন এর মূল কপি। রেজিষ্টেশন কাগজ এর মূল কপি। ইন্সুরেন্স (মেয়াদ সহ) এর মূল কপি। রেজিষ্টেশন এর টাকা জমার মূল রসিদ, অবশ্যই সাথে রাখবেন। ৪। বাইক স্টার্ট করার আগে দুই চাকার ব্রেক, ক্লাস, হেড লাইট, হর্ণ, ইন্ডিকেটর লাইট চেক করে নিবেন। এবং চাকায় লিক আছে কিনা চেক করে নিবেন। ৫। আপনার কাপড়ের ব্যাগটা বাইকের বেক সীটে ভালো করে টাইট করে বেঁধে নিবেন। সামান্য প্রকারও যেন নড়াচড়া না করে। ৬। ব্যাগ কোন অবস্থাতেই কাধে বা পিঠে নিবেন না। ৭। বিশেষ বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া রা‌তে বাইক জার্নি করবেন না। ৮। হাইওয়েতে যখন উঠবেন তখন আপনার বাইকের বেক লাইট এবং হেড লাইট / ফগ লাইট জ্বালিয়ে রাখবেন। #এবার_আসুন_সতর্কতাঃ- ১। বিসমিল্লাহ বলে বাইক স্টার্ট করবেন। ২। আপনি যত এক্সর্পাট বাইকারই হোন না কেন, হাইওয়েতে ৯০+ স্পিডের বেশি চালাতে যাবেন না। ৩। ৪৫ থেকে ৫০ কিঃমিঃ পর পর ১০ থেকে ১৫ মিনিটের বিরতি দিবেন। এতে আপনার বাইকের রেস্ট হবে, সাথে আপনারও। এই বিরতিতে আপনি চা/পানি খেয়ে নিতে পারেন। ৪। নিরিবিলি জায়গায় বিরতি দিবেন না। এতে আপনি ছিনতাইকারির কবলে পড়তে পারেন। ৫। বাইক স্টার্ট করা থেকে শুরু করে, প্রতি বিরতির পর বাইক স্টার্ট করার আগে একটা সেন্ট্রার ফ্রেস/ফ্রুট মুখে দিয়ে নিবেন। এই সেন্ট্রার ফ্রেস/ফ্রুট আপনি আপনার বাসার কাছের দোকান থেকে নিয়ে নিবেন। এই সেন্ট্রার ফ্রেস/ফ্রুট আপনাকে চলন্ত বাইকে প্রানবন্ত রাখবে। ৬। পানির বোতল সাথে রাখবেন। যেটা আপনি আপনার বাসা থেকেই বা বাসার কাছের দোকান থেকে নিয়ে নিবেন। ৭। চলন্ত বাইকে মোবাইলে কথা বলবেন না। ৮। পুলিশের পোষাক ছাড়া কেউ সিগনাল দিলে দাড়াবেন না। ৯। পুলিশের পোষাকে পুলিশ সিগনাল দিলে অবশ্যই দাড়াবেন। এবং বিনয় ও সন্মানের সহিত কথা বলবেন। ১০। আপনি যদি সিঙ্গেল বাইকার হোন তাহলে আপনার বাইকের গতির সাথে মিলিয়ে যে কোন একটা চার চাকার গাড়ির পিছু পিছু যাবেন। বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া তাকে ওভারটেক করবেন না। এবং ঐ গাড়ির ডান চাকার দাগে দাগে চালাবেন। দুই চাকার মাঝ বরাবর চালাতে যাবেন না। এতে আপনার বিপদ হতে পারে। এবং উক্ত গাড়ি থেকে কমপক্ষে ১০০ হাত দূরুত্ব বজায় রাখবেন। ১২। তিন চাকার পরিবহন (অটোরিক্সা, রিক্সা, সিএনজি, টেম্পু) থেকে ১০০০ হাত দূরে থাকবেন। কারন এরাই হবে আপনার দূর্ঘটনার প্রধান কারন। ১২। হাইওয়েতে কেউ লিফ্ট চাইলে দাড়াবেন না। ১৩। হাইওয়েতে কেউ বিপদগ্রস্থ হয়ে আপনার কাছে সাহায্য চাইলে ভুলেও দাড়াবেন না। কারন ছিনতাইকারি বিপদগ্রস্থ মানুষ সেজে আপনাকে দাড় করিয়ে আপনার বাইক সহ মূল্যবান জিনিস পত্র নিয়ে যাবে। যদি সত্যি সত্যি বিপদগ্রস্থ হয়, তাহলে হাইওয়ে পুলিশকে জানাতে পারেন। ১৪। চলন্ত বাইকে লুকিং গ্লাস ফলো করবেন। ১৫। যে কোন গাড়ি আপনাকে ওভারটেক করার সময় অথবা আপনি ওভারটেক করতে গেলে কমপক্ষে ৫ হাত দূরত্ব বজায় রাখ‌বেন। ১৬। বাইকের তেল ফুল ট্যাংকি ভরে নিবেন। ১৭। ভাংতি টাকা সাথে রাখবেন। ব্রীজ/ফেরি তে টোল দিতে কাজে আসবে। ১৮। গান শুনতে শুনতে বাইক চালাবেন না। ১৯। মোবাইলে লাস্ট ডায়ালে এমন একজনের নাম্বার রাখবেন, যেন কোন সমস্যা হলে সাথে সাথে তাকে কল দিতে পারেন। ২০। রাস্তা ঘাটে না পারতে কোন খাবার খাবেন না। যদি খেতেই হয় তাহলে ইনটেক্ট খাবারের প্যাকেট কিনবেন। অথবা বাসা থেকে শুকনা খাবার সাথে নিতে পারেন। আমার এই টিপস্ এ যদি আপনার সামান্যতম উপকার হয়, তাহলে আমার জন্য দোয়া করবেন। সাবধানে বাইক চালাবেন, সতর্ক থাকবেন।

শনিবার, ৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

বাংলাদেশের তরুণদের মধ্যে বর্তমানে ক্যারিয়ার হিসেবে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে ফ্রিল্যান্সিং

👏

রবিবার, ৮ মে, ২০২২

                      মা - মায়ের জন্য লেখা কিছু কথা আশাকরি ভালোলাগবে


Zahidul Islam 2022-05-08 Student Story > Happy-mothers-day
সকালে ঘুম থেকে উঠেই, Facebook টা যেই খুলেছি, Facebook Page, আজ শুধুই মাকে নিয়ে লেখা Post এ ভরা। মাকে নিয়ে লেখা সব post গুলো খুব ভালো লাগলো পড়ে, খুব সুন্দর হয়েছে লেখাগুলো। মা আমি তোমায় খুব ভালোবাসি, তুমি আমার সব কিছু, তোমায় অশেষ ধন্যবাদ, আরও অনেক লেখাই পরলাম, যেনো মায়ের গর্ব করা সন্তান, খুব ভালোবাসে মাকে। কেউ কেউ তো আবার মাকে নিয়ে selfie ,খুব সুন্দর লাগে এইসব দেখতে, কত ভালোবাসা মায়ের প্রতি, খুব সুন্দর সম্পর্ক মা আর সন্তানের তাই না। দেখতে কি ভালো লাগে, লাইকের পর লাইক, কত কমেন্ট। চোখটা আমাদের শুধু fb pagei কি খুশি আমরা, হা আমাদের কথাই বলছি যাদের ভালোবাসাটা শুধু এখন লাইক আর কমেন্টের জন্য, এখন যদি মা এসে বলেন বাবু একটু সাহায্য কর না, তখনই বেশি জ্বালিয়ো না তো, অথচ মাকে নিয়ে লেখা post র, উত্তর দিচ্ছে, হা আমার মা আমার সব, আমি আমার মাকে খুব ভালোবাসি, আমাদের সবার উচিত মাকে নিশার্থ ভাবে ভালোবাসা, মায়ের যত্ন করা আরও কত কি লিখিছি আমরা, কত ভালোবাসা মায়ের প্রতি, মায়ের ডাকে কিন্তু সাড়া নেই। হা এখন আমাদের ভালোবাসাটা এইভাবেই fb, whatsapp status এর মধ্যে সীমাবদ্ধ হয়ে গেছে, আমরা আজ এতোটাই fb তে মগ্ন হয়ে গেছি যে যার জন্য এই লেখা, যার জন্য এতোকিছু তাকেই মনে নেই। কেনো পারি না, আজকের দিনটাই fb, whatsapp না থেকে, দিনটা মায়ের সঙ্গে কাটাতে, আমরা বলতে পারি না, মা তুমি তো রোজ রান্না করো, আজ না হয় আমি রান্না করি, চলো মা আজ তোমাকে নিয়ে ঘুরতে যাই। তাই আমাদের সবার ভাবা উচিত মায়ের প্রতি আমাদের ভালোবাসাটা শুধু যেনো fb, whatsapp status র মধ্যে আটকে না থাকে, আমাদের ভালোবাসাটা যেনো শুধু লাইক কমেন্টের জন্যে না হয়, মাকে ভালোবাসার জন্য জেনো আমরা শুধু এই একটা দিন পালন না করি। আমাদের কাছে প্রতিটি দিনই যেনো mother's day হয়।।।।।।।।।
Zahidul
মা ! এই একটা শব্দ আমাদের জীবনে জীবনের সমান। আমাদের জীবনে মা একটা এমন জায়গা যা আমরা ঠিক সুস্পষ্ট ভাবে ব্যাখ্যায় করতে পারিনা। মা আমাদের সেই গাছ তলা যেখানে জীবনের কঠোর তপ্ত রোদের মধ্যে একফালি ছায়া যেখানে আমরা চলার পথে কিছুটা বিশ্রাম পাই। মা আমাদের বাড়ির সেই কোনটা যেখানে আমরা আর সবকিছু ভুল হলে গিয়ে বসে নিঃস্বাস নি। আমাদের জীবনে আমাদের মা ই একমাত্র মানুষ যে এক্কেবারে ভেতর থেকে বোঝে, মায়েদের কিছু বলে দিতে হয়না আমাদের, আমাদের মুখ দেখলেই কেমন করে যেন আমাদের মনের অবস্থা বুঝে ফেলে। আর ঠিক সময়মত সঠিক সমাধান চলে আসে হাতের কাছে।এমন কোনো মনুভূতি নেই নেই আমাদের মায়েরা আমাদের জীবন সম্পর্কে জানেনা বা তার জন্য আমাদের সঠিক সমাধান বলে দিতে পারে। একদিনের এর্টটি একটা মেয়ে ৯ মাস তার সন্তান কে জঠরে লালন করে এক দিনের মধ্যেই হয়ে ওঠে মা যার ভাবনা ভালোবাসা তার সন্তান ও আর বাকি পৃথিবীর সমস্ত সনাতনের প্রতি এক ই থাকে। জীবনে যে মানুষের কাছে তার মায়ের স্নেহ থাকে সে সেই স্নেহ ভালোবাসার জোরে সারা পৃথিবী জয় করতে পারে। এমন কোনো পরিস্থিতি জীবনে থাকেনা এমন কোনো অসুবিধে আমাদের জীবনে থাকেনা যা আমাদের মা ঠিক করে দিতে পারেনা।


Zahidul Islam

বৃহস্পতিবার, ১৯ আগস্ট, ২০২১

অতিরিক্ত পানি পান করলে কী হয়?

 

সবাই বলে থাকেন বেশি বেশি পানি পান করা স্বাস্থ্যের জন্য ভীষণ ভালো। কথাটা কিছু মানুষের জন্য প্রযোজ্য হলেও সবার জন্য নয়। অতিরিক্ত পানি পান ডেকে আনতে পারে ভয়ানক বিপদ। সাধারণত মানুষের কিডনি অতিরিক্ত পানি প্রস্রাবের মাধ্যমে দেহ থেকে বের করে দিতে পারে।
কিন্তু অতিরিক্ত পানি পানের ফলে কিডনিকে অতিরিক্ত পানি বের করে দেওয়ার দায়িত্ব নিতে হবে। এতে কিডনির ওপর চাপ পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে মারাত্মক রকম। আর কিডনি কাজ না করতে পারলে অতিরিক্ত পানি শরীরে জমে গিয়ে সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে। তাই বুঝে শুনে পানি পান করতে হবে।
বাংলাদেশের আবহাওয়া অনুযায়ী একজন মানুষের স্বাভাবিকভাবে ২-৩ লিটার পানি পানই যথেষ্ট। তবে ইউরোপিয়ান ফুড সেফটি অথরিটির এক প্রতিবেদন দাবি করে স্বাভাবিকভাবে এরচেয়ে কম পানি পান করলেও অসুবিধা নেই।
পুরুষদের জন্য ২ লিটার আর নারীদের জন্য ১ দশমিক ৬ লিটার পানিই স্বাভাবিক। প্রতিবেদনটিতে উল্লেখ করা হয়, দিনের অসংখ্য খাবারের মধ্য দিয়ে পানি প্রবেশ করছে আমাদের দেহে তাই ২ বা দেড় লিটার পানি পানই স্বাভাবিক।

অতিরিক্ত পানি পান ডেকে আনতে পারে ভয়ানক বিপদ! | কালের কণ্ঠ

তবে অ্যান্টিবায়োটিক জাতীয় ওষুধ গ্রহণকারীদের জন্য বেশি পানি পানের পরামর্শ চিকিৎসকরাই দিয়ে থাকেন। যাতে শরীর থেকে রাসায়নিক উপাদান দ্রুত প্রস্রাবের মাধ্যমে নিস্কাশিত হয়।
জ্বর, ডায়রিয়া জাতীয় অসুখেও বেশি বেশি পানি ও তরল জাতীয় খাবার গ্রহণের পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা।
কিডনির সমস্যা, উচ্চ রক্তচাপ, হৃদেরাগ ও শ্বাসযন্ত্রের সমস্যা আছে, এমন রোগীদের পানি পানের পরিমাণটি চিকিৎসকের কাছ থেকে জেনে নেওয়াই শ্রেয়। অহেতুক অতিরিক্ত পানি পান তাদের ক্ষতির কারণ হতে পারে।
তবে বর্তমান সময়ে চিকিৎসকদের প্রধান পরামর্শ হচ্ছে, যে পরিমাণ পানিই একজন পান করুক না কেন তাকে অবশ্যই ফুটানো অর্থাৎ জীবাণুমুক্ত পানি ও পরিশোধিত দূষণমুক্ত পানি পান করতে হবে।

শনিবার, ৭ আগস্ট, ২০২১

⭕সাইকোলজিক্যাল হ্যাক⭕

 ⭕সাইকোলজিক্যাল হ্যাক⭕


◽১..স্মার্টফোন কেনার সময় কখনই ক্যামেরাটা গুরুত্ব দেবেন না। প্রসেসর এবং RAM এর গুরুত্ব সর্বাধিক। স্ক্রীনসাইজ ও খুব একটা গুরুত্ব রাখেনা। মনে রাখবেন আপনি ক্যামেরা অথবা TV নয়, মোবাইল ফোন কিনছেন।


◽২..যখন কারো সাথে কোনো বিতর্কে অংশ নেবেন তখন পুরো সময় নিজেকে ঠান্ডা রাখার চেষ্টা করুন..... ঠান্ডা মাথায় বিতর্কে জয়লাভ করার সম্ভাবনা বেড়ে যাবে


◽৩..কোন পরিস্থিতিতে অতিরিক্ত মানসিক চাপের সৃষ্টি হলে চুইংগাম চিবতে পারেন; পরিস্থিতি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে আসবে


◽৪..যখনই কারো সাহায্য প্রয়োজন হবে সরাসরি তাকে বলুন "আমি আপনার সাহায্য চাই"। এতে অনেক দ্রুত কাজ হয়।


◽৫..কোন ব্যক্তি যদি আপনাকে অপমান করে আপনি শুধু তাকে অবহেলা করুন অথবা পারলে তার নকল করুন। কিন্তু কোনো অবস্থাতেই আপনি আপনার মেজাজ হারাবেন না এবং পরিস্থিতি কখনও আপনার হাতের বাইরে যেতে দেবেন না


◽৬..অনলাইন থেকে কোন জিনিস কিনতে চাইলে সেই জিনিসটাকে আপনার cart এ কয়েকদিনের জন্য সেভ করে রাখুন কিন্তু অর্ডার দেবেন না। কিছুদিনের মধ্যে দেখবেন এই জিনিসটির দাম বেশিরভাগ ক্ষেত্রে কিছুটা কম হয়ে যাবে।


◽৭..কোনো নতুন জায়গায় ঘুরতে গেলে আপনি যদি ওই জায়গাটির সম্বন্ধে একটা সম্যক ধারণা চান তাহলে কোন চায়ের দোকানে চলে যান। চা খেতে খেতে এবং দোকানদারের সাথে কথা বলতে বলতে ওই জায়গার সম্বন্ধে মোটামুটি একটা ধারণা পেয়ে যাবেন


◽৮..আয়নার দিকে তাকিয়ে নিজেকে দেখুন এবং নিজের সাথে হাসতে থাকুন এবং নিজেকে বলুন "আমি নিজেকে পছন্দ করি" তাৎক্ষণিকভাবে এটি আপনার আত্মবিশ্বাস অনেক গুণ বাড়িয়ে দেবে


◽৯..আপনার ঘরে একটি নীল বাতি রাখুন। এটি আপনাকে শান্ত থাকার প্রয়োজনীয় হরমোন নিঃসরণে সাহায্য করবে


◽১০..আপনি যদি কোন দলের সাথে একসাথে থাকেন এবং জানতে চান কে আপনাকে সবথেকে বেশি পছন্দ করে তাহলে কোন হাসির মুহূর্তে দেখুন কোন ব্যক্তি আপনার দিকে হাস্যরত অবস্থায় তাকিয়ে রয়েছে! যখন কেউ মন খুলে হাসে তখন সে তার সবথেকে নিকট ব্যক্তির দিকেই তাকিয়ে থাকতে পছন্দ করে।


◽১১..যখন কেউ আপনার দিকে রাগান্বিত অবস্থায় তাকিয়ে আছে তখন শান্ত থাকার চেষ্টা করুন


◽১২..দুটো সিদ্ধান্তের মধ্যে কোন একটি কে পছন্দ করতে হলে কঠিনতর সিদ্ধান্তটি গ্রহন করুন। ভবিষ্যতে আফসোস করবেন না।


◽১৩..ইন্টারভিউ বোর্ডে যদি কোনো অজানা প্রশ্নের মুখোমুখি হন তাহলে তিন থেকে পাঁচ সেকেন্ডের মধ্যে জানিয়ে দিয়েন আপনি ওই প্রশ্নের উত্তর জানেন না। কোনরকম ভনিতা করবেন না। এতে আপনার ব্যক্তিত্বের প্রভাব বৃদ্ধি পাবে।


◽১৪..কোন প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় বসার এক ঘণ্টা আগে থেকে পরীক্ষার হলে ঢোকার আগের মুহূর্ত পর্যন্ত আপনি ওই কোম্পানি সম্বন্ধে শুধু ভাবতে থাকুন এবং চাকরিরত অবস্থায় ওই কোম্পানিতে আপনার অবস্থানের প্রতিচ্ছবি কল্পনা করুন। পরীক্ষার সময় আপনার ইতিবাচক মানসিকতা অনেকটাই বেড়ে যাবে।


—ধন্যবাদ,,,,,

রবিবার, ১ আগস্ট, ২০২১

সুন্দর একটি ভালোবাসার গল্প।

 "নিজের বেস্টফ্রেন্ডের বাসরঘরে বউ সেজে বসে আছে রিমি।কিছুক্ষণ আগে ওর বান্ধবী স্রুতির জায়গায় ওর বিয়ে হয়েছে।স্রুতিকে তার প্রেমিকের সাথে পালাতে সাহায্য করার শাস্তিস্বরুপ ওকেই বিয়ের পিরিতে বসতে হয়েছে।রিমি ওর বাবাকে ছোটবেলা থেকে ভয় পায়।তাই বাবার এক ধমকেই দুমদুমিয়ে বউ সেজে বিয়েতে রাজি হয়ে যায়।ভয়ে রীতিমতো কাঁপছে রিমি।আগাম ঝড়ের আভাস পাচ্ছে ও।দরজা লাগানোর শব্দ শুনে তীব্র ভয়টা বিশাল আকার ধারণ করে নিয়েছে ওর ভেতর। ফ্লর কাঁপানো শব্দ করে কেউ একজন এগোতে লাগলো রিমির দিকে।রিমি বেশ বুঝতে পারছে লোকটি কে হতে পারে।বেচারি ঘোমটার নিয়ে ঘেমে একাকার হয়ে গেছে।ঘনঘন ঢোক গিলছে আর আল্লাহ নাম জোপে যাচ্ছে।


-নামো আমার বিছানা থেকে!


হুংকার দিয়ে বলায় রিমি চট করে মাথার ঘোমটা খুলে পিট পিট করে তাকায়।সামনের লোকটির রাগান্বিত চাহনি দেখে ভয়ে কেঁদেয় দেয় রিমি।কাঁদো কাঁদো গলায় বলে,আপনি আমাকে ভুল বুঝবেন না আহসান।আমি আসলে...রিমি পুরো কথা শেষ করার আগেই আহসান রিমির কথার মাঝে বলে,


-আমি সব জানি।লোভি মেয়ে তুমি।নিজের স্বার্থসিদ্ধির জন্য তুমি স্রুতিকে পালাতে সাহায্য করেছো,যাতে আমাকে বিয়ে করতে পারো।


 -না বিশ্বাস করুন আমি আপনাকে বিয়ে করার জন্য কিছু করিনি।আমি স্রুতিকে পালাতেও সাহায্য করিনি।শুধু আমি জানতাম ও পালাবে।কিন্তু আমি বন্ধুত্বের খাতিরে বলিনি কাউকে।বরং আমি ওকে বারবার বলেছি ও যেন এমন কিছু না করে।


-শাট আপ!যতসব ছোটলোক,লায়ার,থার্ডক্লাস ফ্যামিলির মেয়ে।ধমকের সুরে বলায় রিমি দু পা গুটিয়ে বুকের সাথে লাগিয়ে নেয়।আহসান খাটে লাথি মেরে বলে,আমি কি বলেছি কানে যায়নি!এবার রিমি উচ্চস্বরে কেঁদেই দেয়,এ্যাআয়ায়ায়ায়ায়ায়ায়া,,,


-এই থামো।নেকাকান্না কাঁদতে হবে না।ওয়াটলেস মেয়ে কোথাকার।যাও সরো আমার চোখের সামনে থেকে। I say get out in front of my eyes...আমি ওয়াশরুম থেকে বের হয়ে তোমার মুখ যেন না দেখি বলে কাবার্ড থেকে একটা টি-শার্ট আর টাউজার বের করে ওয়াশরুমে চলে যায়।


(পরিচয়ঃআহসান তালুকদার হচ্ছে গল্পের হিরো।আহসান Australia থেকে ডাক্তারি পড়া শেষ করে বিডিতে ব্যাক করে।কিছুদিন আগে বাবার হসপিটালে জয়েন করেছে।এমবিবিএস বাবার একমাত্র ছেলে সে।আহসানের বাবার নাম রঞ্জিত তালুকদার এবং মায়ের নাম অপা তালুকদার।অপা হাউজওয়াইফ।ছেলের পেছনেই সারাদিন কেটে যায় ওনার।স্রুতি আহসানের ফুপির মেয়ে।স্রুতি আমজাদ শেখ এবং রুপা শেখের একমাত্র মেয়ে।আহসান ও স্রুতি কাজিন হওয়ায়, সেই সুত্রে ওদের বিয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন।স্রুতি আর রিমি একে অপরের বেস্টফ্রেন্ড।ওরা সবসময় একই কলেজ ও ভার্সিটিতে পড়াশোনা করেছে।রিমিরা দু বোন।বড় বোনের বিয়ে হয়ে গেছে।আহসান ও স্রুতির মতো ওরা তেমন বিত্তবান নয়।রিমির বাবা নাজমুল হোসেন একজন পাবলিক কলেজের টিচার।ওর মা আম্বিয়া বেগমও পাবলিক হাই স্কুলের টিচার।রিমির বাবা মা দুজনই রিটায়ার করেছেন।রিমি মাস্টার্স কমপ্লিট করার পর জব করতে চেয়েছিল।এরই মধ্যে এসব হয়ে গেল।)


আহসান ওয়াশরুম থেকে বেরিয়ে এসে কোনো দিকে না তাকিয়ে বিছানায় গিয়ে শুয়ে পড়ে।সকালে আহসানের ঘুম ভাঙে কারো গোংরানির শব্দ শুনে।আহসান এদিক সেদিক তাকালো কিন্তু কাউকে দেখতে পেল না।তারপর যেদিক দিয়ে আওয়াজ ভেসে আসছে সেদিকে পা বাড়ালো।আস্তে আস্তে বেলকনির দিকে যায় আহসান।সেখানে গিয়ে দেখে বেলকনির এক কোণে গুটিশুটি মেরে শুয়ে আছে রিমি।কাঁপছে আর মুখ দিয়ে শব্দ করে যাচ্ছে অনবরত।মুখ যেন রক্তশুন্য হয়ে গেছে রিমির।ঠোঁটের লিপ্সটিক ছেতরে গেছে।কাজলটাও চোখ বেয়ে অন্যত্র লেপ্টে আছে।আহসানের কাছে রিমিকে উম্মাদের মতো লাগছে।রিমিকে এমন পরিস্থিতিতে দেখে মায়াও হচ্ছে।ও রিমির কাছে গিয়ে হাটু গেড়ে বসে।তারপর রিমিকে ডাক দেয়,


-এই মেয়ে শুনতে পারছো!তুমি এখানে কেন শুয়ে আছো?এই মেয়ে, এই বলে রিমির গালে হাত রাখতেই আহসান বেশ চমকে উঠে।আর বলে,ওহ নো!এর তো খুব ফিভার হয়েছে।অসহ্যকর।এখন যদি বাপি শোনে উনি বারান্দায় শুয়ে জ্বর বাধিয়েছে,তাহলে আমি শেষ।এই মেয়ে দেখছি বিপদের পর বিপদ খাড়া করে দিচ্ছে।শেট বলে রিমিকে পাজকোলে নিয়ে নেয়।তারপর বিছানায় শুইয়ে দিয়ে বেড সাইড ড্রয়ার থেকে থার্মোমিটার বের করে রিমির মুখে ধরে।কিছুক্ষণ পর থার্মোমিটার চেক করে বলে,ওএমজি!এনার তো ১০২° ফিভার!


#তোলপাড়💓

#সুচনা পর্ব

#শান্তনা_আক্তার(Writer)


#চলবে?

এই দুনিয়ায় যার টাকা আছে তার অনেক মুল্য আছে, আর যার টাকা নাই তার কোনো মুল্য নাই।হায়রে বাস্তবতা।

চাকরির পরীক্ষায় সফল হওয়ার কৌশল

 চাকরির পরীক্ষায় সফল হওয়ার কৌশল বর্তমানে সকল চাকরি পরীক্ষাতেই বেশ প্রতিযোগিতা লক্ষ্য করা যায়। এ প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে হলে অবশ্যই কিছু কৌশল...